সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২

গাংনীতে ১ লাখ টাকা নিয়ে সুদে আসলে দিলেন ৭ লাখ টাকা - পদ্মা নিউজ ২৩

 

 মোঃ কামাল হোসেন খাঁন মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

মেহেরপুরের গাংনীতে বিদেশ যাবার উদ্দেশ্যে ধার হিসেবে ১ লাখ টাকা নিয়ে সুদে আসলে ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও আবারও অতিরিক্ত টাকার দাবীতে জনসম্মুখে প্রবাসির স্ত্রীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেছে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের লতিফ হোসেনের ছেলে আনিস হোসেন (৪০) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী।


রবিবার (৭ আগস্ট), বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কের গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সামনে অগ্রনী ব্যাংকের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় অগ্রনী ব্যাংকের সামনে শতশত মানুষ উপস্থিত হন। পরে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম এসে হেনস্থাকারী বখাটে আনিসকে সরিয়ে দেন এবং ভুক্তভোগীকে থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দেন।

ভুক্তভোগী গোপালনগর গ্রামের প্রবাসির স্ত্রী জানান, আমি অগ্রনী ব্যাংকে টাকা ওঠানোর জন্য গেলে বখাটে, সুদখোর একই গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী আমার গতিরোধ করে এবং অশ্লীল ভাষায় আমাকে গালি-গালাজ করতে থাকে। এক সময় আমার শরীরে হাত ওঠায়। আমি তার হাত থেকে বাঁচতে বাইরে যেতে গেলে সে আমাকে ধরে টানা-হেঁচড়া শুরু করে। এঘটনায় এলাকায় শতশত মানুষের সমগম ঘটে। এসময় আমি পরিচিত লোকের ২ জনকে ফোন করলে তারা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সাংবাদিক এসে পৌঁছলে সে আমাকে ছেড়ে দেয়।

ভুক্তভোগী জানান, আমার স্বামী মালয়েশিয়া যাবার সময় ধার হিসেবে আনিসের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিই। পরে সুদে আসলে ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করি। টাকা পরিশোধের বিষয়টি অনেকেই অবগত রয়েছেন। তবুও সে আরও টাকা পাওনা আছে বলে আমাকে হয়রানি করতে থাকে। বিভিন্ন সময়ে আমার বাড়িতে আসতে থাকে। আমি বাড়িতে ছেলে নিয়ে একা বসবাস করায় তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করলেও সে তা অমান্য করে আসতে থাকে। সে বলে তোর স্বামীর ভাত খাওয়াচ্ছি! আমার সাথে নিকাহ করতে হবে। কিন্তু আমি তাকে পাত্তা না দেওয়ায় রাস্তায় একা পেলে গতিরোধ করে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে। আমার ছেলে স্কুলে গেলে ছুটি শেষে ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গেলেও বিভিন্ন সময়ে সে আমাকে কু-প্রস্তাব দেয়। আমার ছেলেকেও অনেক কিছু বলে। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।

ইতিপূর্বে গত ১০ জুন ২০২২ আমি গাংনী পৌর এলাকার শিশিরপাড়ার ওয়েব ফাউন্ডেশনে গেলে আমাকে একা পেয়ে পাকা সড়কের উপর জোরপূর্বক টানা-হেঁচড়া শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী করে। আমি লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। অবশেষে রবিবার দুপুরে আবারও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে জনসম্মুখে আমার শরীরে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী করে। যা স্থানীয় লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। সিসি ক্যামেরা দেখলেও আমাকে হেনস্থা করার কিছু অংশ দেখা যাবে।

এবিষয়ে আমি গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি এবং এ বিষয়ে আনিসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।

তবে এবিষয়ে ঘটনাস্থলে আনিসকে জিজ্ঞেস করা হলে সে টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানান। তবে টাকা পাওনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক কে ফোন করা হলে তিনি ঢাকায় রয়েছেন বলে জানান।

গাংনী থানার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, হ্যাঁ এসংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে। ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আনিসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

 

মোঃ কামাল হোসেন খাঁন মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ 

০১৭৩৫৯১৮৯৪৫.

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন