বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২

জনপ্রিয়তাই বিষফোঁড়া চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের - পদ্মা নিউজ ২৩

দুর্গাপুর প্রতিনিধি : 

রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার ৪নং দেলুয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টুর  জনপ্রিয়তায় প্রতিপক্ষের নানান চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে বিতর্কিত করার চেষ্টায়। ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। 


এবারের ইউপি নির্বাচনে সরকার দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে সাধারণ জনগণের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে। প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে আগিয়ে  পরপর দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণের সেবা ও তাদের ভালোবাসাই প্রতিপক্ষের চক্ষুশূল হয়েছে। একজন সফল মৎস্য চাষিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করতে নীল নকশা বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছে প্রতিপক্ষরা । রিজালুর চেয়ারম্যানের মূল পেশা মৎস্য চাষাবাদ। বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি বিভিন্ন মেয়াদে চুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ করে থাকেন। ঠিক তেমনি ১০ বছর পূর্বে  উপজেলার আংড়ার বিলের প্রচলিত দরে ৭৩ বিঘার একটি পুকুর ১৩ মাসে বছর হিসেবে পুকুরে মৎস্য চাষাবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু বর্তামান সময়ে আকাশচুম্বী হয়েছে পুকুরে লিজের দর। তাতেই বাঁধে, বিপত্তি মালিক পক্ষ লোভের বশবর্তী হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নামেন নানান চক্রান্ত ষড়যন্ত্রে। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ যার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। তাদের উদ্দেশ্য যেকোনো মূল্যে ৯ মাস আগেই তাকে উৎখাত করা। একদিকে যেমন তিনি রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবেন অন্য দিকে চক্রান্ত সফল হলে বিশাল  আর্থিক  লোকসানে পড়বেন। বলা চলে সাপো মরবে আবার লাঠিও ভাঙ্গবে না, এমনী তাদের পরিকল্পনা। অন্য দিকে নানান বিভ্রান্তিকর তথ্য সাংবাদিক মহলে প্রচার করে মিডিয়াকে পাশে নিয়ে চেয়ারম্যানকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। সব মিলিয়ে আম জনতা এই কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন  নানান ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। 


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগকারী 

আলমগীর জানান, আমাদের কাছে কোনো চুক্তিপত্র নেই। আমরা টাকা নিয়েছি সই দিয়েছি পড়ে দেখিনি। চেয়ারম্যানের কাগজ পত্র সম্পর্কে ধারণা নেই। 


ভুক্তভোগী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টু বলেন, মূল সমস্যা আমার পরিচয় আজ চেয়ারম্যান না হয়ে সাধারণ মৎস চাষী হলে আমার মান ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারতো না। আমি একজন মৎস্য চাষি?  অবৈধ টাকার মাধ্যমে অাঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়নি। নিজের পরিশ্রম ও কষ্টের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। লিখিত অভিযোগের প্রকৃত ঘটনা  ১০ বছর পূর্বে প্রচলিত দরে ১৩ মাসে ১ বছর মেয়াদে ৭৩ বিঘা জমি লিজ নেই। যার মেয়াদ এখনও ৯ মাস রয়েছে। যার সকল প্রমাণাদি আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। সকল কিছু প্রকাশ্যে ৬৩ জন  মালিক পক্ষ জেনে বুঝে চুক্তি স্বাক্ষর করে।  কোনো ভাবেই চুক্তি  জালিয়াতির সুযোগ নেই। বর্তমানে পুকুরের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লোভের বশবর্তী হয়ে মালিকপক্ষ  আমার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে নানান চক্রান্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে । এমন জঘন্য কাজ মাত্র ৯ মাসের জন্য করবো তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পুকুরে বর্তমানে মাছ সেট রয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি টাকা। সবকিছুর পেছনের উদ্দেশ্য আমায় রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করা। যার অংশ হিসেবে আমার সাংবাদিক ভাইদের কাছে অসত্য মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করছে কুচক্রী মহল। আমার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র কারী ও মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে নায্য বিচার চাই।

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন