নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর দূর্গাপুরে র্শীষ মাদক সম্রাট একাধিক মামলার আসামী দেবিপুর গ্রামের সাহাবুর রহমান ও তার স্ত্রীকে মাদক মামলা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন রাজশাহী জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আতিকসহ জেলা ডিবি পুলিশের টিম।
গত ৩০ জুলাই বেলা ২টার দিকে রাজশাহী জেলা ডিবির পরিদর্শক আতিকের নেতৃত্বে একটি টিম তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তার বাড়িতে ইয়াবা ও হেরোইন উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাবাহাবুল ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে মাদক মামলা দায়ের করা হয় দূর্গাপুর থানায়। ঘটনার দিন সাহাবুরের বাড়িতে মাদক সেবন করতে আসা তিন যুবক পুলিশের কাছে স্বীকার করে তারা ফেনসিডিল খেতে সাহাবুরের বাড়িতে আসে। তাদের স্বীকারুক্তির ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনার ৬ দিন পরে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকারের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি ও মিথ্যা মাদক মামলায় তাদের ফাঁসিয়েছে অভিযোগ তুলে মাদক সম্রাট সাহাবুরের ছেলে সুজন রাব্বী বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
আরো জানা গেছে, দূর্গাপুর উপজেলার দেবিপুর গ্রামের সাহাবুর, তার ছোট স্ত্রী সাবানা, তার বড় স্ত্রী ও তার ছোট ভাই ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম র্দীঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতো। তার বাড়িতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক সেবিরা ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন সেবন করতে ও ক্রয় করতে আসে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। মাদক মামলায় জেল হাজতেও গেছে একাধিক বার দুই স্ত্রীসহ সাহাবুর রহমান। র্দীঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে সেই আলিশান বাড়ি করেছে এবং সম্পদ গড়েছে। এলাকার কাউন্সিলর তার ভাই সাইফুল ইসলাম। এলাকার সন্ত্রাসি প্রকৃতির লোক তারা। এ কারনে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাই না।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সে র্দীঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতো। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হেরোইন ও ইয়াবা উদ্ধার করে জেলা ডিবি পুলিশ। উদ্ধারকৃত মাদক দিয়ে তাদের স্বামী ও স্ত্রীকে মামলা দেয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই তারা উল্টা পুলিশকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ করছে যে পুলিশ ৫ লাখ টাকা ঘুষ না পেয়ে তাদের মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে।
আরো জানা গেছে, সাহাবুর দূর্গাপুরের র্শীষ মাদক সম্রাট হিসাবে পরিচিত। এলাকার মানুষ সাবই জানে। তার পুরো পরিবার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতো। মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়ার কারনে তার মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এলাকার কিছু হলুদ সাংবাদিক, নেতা, তার ভাই কাউন্সিলর স্যল্টার দিয়ে তাকে মাদক ব্যবসা করার সহায়তা করে বলে তথ্য আছে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে।
পুলিশের পরিদর্শক আতিকুর রেজা সরকার দাবি আরো জানান, ঘূষ চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা পড়ার পরে এমন কথা বলেই থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন